সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন।তারি প্রতিফলনে দেশের নানা ধরনের আইন সংশোধন করছেন আবার নতুন আইন করছেন। এাবর নতুন একটি আইন করেছেন দেশটির সরকার।নতুন আইনটি মোড়ল নিউজের পাঠকদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হল:-
সৌদি আরবের এয়ারপোর্টেগুলোতে গতকাল ৩০ জুন ২০১৮ থেকে কার্টুন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে- লাগেজ, ব্রিফকেস বা এ জাতীয় প্রডাক্টের মালামাল সহজে চেকআপের ব্যবস্থা থাকলেও কার্টুনে তা সম্ভব হয় না। সৌদি কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ একটি নোটিশ থেকে এসব কথা জানা যায়।
তারা এর কারণ সম্পর্কে বলছেন, এই শক্ত কাগজের কার্টনে মালামাল রাখার পর শক্ত প্রাস্টিকের স্কচটেপ দিয়ে কয়েকবার মোড়ানো হয়। এরপর এটিকে মোটা রশি দিয়ে কয়েকবার পেছিয়ে ফেলা হয়। যার ফলে ঠিকভাবে তল্লাশি করা যায় না।
মোটা রশি দিয়ে কাগজের কার্টনে বহন করে সাধারণত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। বিশেষ করে দেশ থেকে প্রবাসে বা প্রবাস থেকে দেশে যাবার সময় প্রবাসীরা তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র নেয়ার জন্য লাগেজ ব্যবহার করেন। তবে এর পাশাপাশি অনেককেই নিজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল কার্টুনে বা মোটা কাগজের বক্সে রেখে স্কচটেপ এবং মোটা রশি দিয়ে ভালোভাবে পেছিয়ে বিমানবন্দরে আনা-নেয়া করতে দেখা যায়।
সম্প্রতি সৌদি বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য মতে এইসব কার্টুনে নিষিদ্ধ জিনিসপত্র পাচারের তথ্য উঠে এসেছে।সাধারণত স্কেনিং মেশিনের চেকের পর এসব কার্টন ছেড়ে দেয়া হয়। এই সুযোগটিই নিয়েছে প্রতারকচক্র।
নতুন আইনটি করার প্রধান কারণ গোপন তথ্য মতে প্রতারকরা নিষিদ্ধ কিছু জিনিসপত্র এমনভাবে রুপান্তর করে এসব কার্টনে করে নেন, সেসব জিনিস স্কেনিং মেশিনও ধরতে পারে না। যার ফলে মেনুয়াল চেকিং প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে।আজ ১ জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে এই আইন কাযর্কর হচ্ছে।যারা এ নতুন আইনটি অমান্য করবে তাদের জন্য কঠোর শাস্থির ব্যবস্তা করা হবে বলে জানা গেছে।